উত্তর প্রদেশের হাতরাসে একটি স্কুলে ১১ বছরের ছাত্রকে বলি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ডিএল পাবলিক স্কুলের আবাসিক ছাত্র কীর্তার্থ কুশওয়াহার রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনায় স্কুলের ম্যানেজার, প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে।
২২-২৩ সেপ্টেম্বরের রাতে কীর্তার্থের দেহ স্কুল ম্যানেজারের গাড়িতে পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, ছাত্রটির মৃত্যু শ্বাসরোধের কারণে হয়েছে। তার গলায় গভীর লাল দাগ ছিল, যা বলির প্রমাণ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা তান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্কুলের উন্নতির জন্য কীর্তার্থকে বলি দিয়েছে। অভিযুক্তদের একজন, যশোধন বাঘেল, স্থানীয়ভাবে “ভগতজী” নামে পরিচিত, যিনি আগে তান্ত্রিক আচরণ করতেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তরা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছিল।
কীর্তার্থের বাবা, কৃষ্ণ কুশওয়াহা, যিনি একজন প্রকৌশলী, দাবি করছেন, “আমার সন্তানকে বলি দেওয়া হয়েছে এবং পুরো সত্য এখনও প্রকাশ পায়নি। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
এছাড়াও, এই হোস্টেলে এর আগেও ছাত্রদের শ্বাসরোধের অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় দুই ছাত্রও তাদের শ্বাসরোধের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছে, যদিও তখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি।
ডিএল পাবলিক স্কুলের হোস্টেলটি অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। স্কুলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, এবং শিক্ষার্থীদের অন্যত্র স্থানান্তরের কাজ চলছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি এলাকায় গভীর শোক ও আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। তদন্ত চলছে, এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে।