লেবাননে সম্প্রতি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গত সপ্তাহে হেজবোল্লার ব্যবহৃত পেজার এবং ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যাতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার পেজার বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু এবং ৩০০০ জন আহত হওয়ার পর, পরদিন ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটে, যেখানে অন্তত ২০ জন নিহত এবং ৪৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
ওয়াকি-টকির এই বিস্ফোরণ মূলত বৈরুতের দক্ষিণে এবং হেজবোল্লার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বেকা উপত্যকায় ঘটেছে। হেজবোল্লা দাবি করেছে যে, এই বিস্ফোরণের পেছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে। ইজরায়েল এখনও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়ভ গ্যালান্ট “যুদ্ধের নতুন পর্ব” ঘোষণার মাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ইজরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এই ধরণের অভিযানে জড়িত থাকতে পারে।
বিস্ফোরিত ওয়াকি-টকিগুলির মডেল জাপানের Icom কোম্পানির আইসি-ভি৮২, যেগুলো পাঁচ মাস আগে হেজবোল্লা ক্রয় করেছিল। যদিও Icom এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং জানিয়েছে যে, দশ বছর আগেই তারা এই মডেলের বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এগুলো পরিকল্পিতভাবে চোরাপথে সরবরাহ করে বিস্ফোরণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
গাজার যুদ্ধে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হেজবোল্লার সদস্যদের মোবাইল ফোন এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যার পরিবর্তে পেজার ও ওয়াকি-টকি ব্যবহার করা হচ্ছিল। ইজরায়েল হয়তো এই ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে হেজবোল্লার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছে। এতে হেজবোল্লার ওপর বড় মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে এবং লড়াইয়ের নতুন পর্ব শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে