ভারত সম্প্রতি পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরও শিথিল করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। পূর্বে প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য নির্ধারিত ছিল সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলারের শর্ত, যা বর্তমানে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় কৃষকদের জন্য যেমন স্বস্তি বয়ে আনবে, তেমনি বাংলাদেশের মতো পেঁয়াজ আমদানি নির্ভর দেশগুলোতেও পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।
ভারতীয় সরকারের শিথিলকরণ ও এর প্রভাব
ভারতীয় ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড থেকে জানানো হয়েছে যে, পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য সম্পর্কিত শর্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যেকোনো মূল্যে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন, যা আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর আগে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল এবং রপ্তানির জন্য ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি
ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল মহারাষ্ট্র, যেখানে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের চাষিরা পেঁয়াজ রপ্তানি কমে যাওয়ার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন এবং তারা সরকারের কঠোর রপ্তানি শর্তের বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন। তাই নির্বাচনের আগে এই শর্ত শিথিল করার মাধ্যমে সরকার চাষিদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য প্রভাব
বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারতের ওপর বেশ নির্ভরশীল। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি দ্রুত এবং সহজ, ফলে বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের তুলনায় বেশি। শুল্ক হ্রাস এবং ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য বাতিলের কারণে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা আবারো স্বল্পমূল্যে পেঁয়াজ আমদানি করতে সক্ষম হবেন। এতে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভোক্তাদের জন্য সুখবর।