ভারতের বাংলাদেশের সাথে সীমানা সংলগ্ন রাজ্যগুলির জিডিপি সাধারণত দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় কম। এখানে কিছু রাজ্যের জিডিপি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হল:
- পশ্চিমবঙ্গ: পশ্চিমবঙ্গ ভারতের সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতির রাজ্য। এর জিডিপি প্রায় ₹ 14.44 লাখ কোটি (2022 সালের তথ্য অনুযায়ী), যা প্রায় 517 বিলিয়ন মার্কিন ডলার(Wikipedia)। পশ্চিমবঙ্গ ভারতীয় অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, বিশেষ করে কল-কারখানা ও পরিষেবা ক্ষেত্রে।
- আসাম: আসামের জিডিপি ₹ 5.79 লাখ কোটি (2022-23 অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী), যা প্রায় 149 বিলিয়ন মার্কিন ডলার(Wikipedia)। রাজ্যের অর্থনীতি প্রধানত কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল।
- ত্রিপুরা: ত্রিপুরার মোট রাজ্য জিডিপি ₹ 62,038 কোটি (2022-23 অর্থবছরে), যা প্রায় 7.44 বিলিয়ন মার্কিন ডলার(India Brand Equity Foundation)। রাজ্যের অর্থনীতি মূলত কৃষি, হস্তশিল্প, ও পরিষেবা ক্ষেত্রে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
- মেঘালয়: মেঘালয়ের জিডিপি প্রায় ₹ 50,027 কোটি, যা প্রায় 6 বিলিয়ন মার্কিন ডলার(India Brand Equity Foundation)। কৃষি, বনজ সম্পদ, ও পর্যটন এ রাজ্যের অর্থনীতির প্রধান খাত।
- মিজোরাম: মিজোরামের মোট জিডিপি ₹ 48,038 কোটি (2024 সালের তথ্য অনুযায়ী), যা প্রায় 5.77 বিলিয়ন মার্কিন ডলার(India Brand Equity Foundation)। কৃষি ও বেতশিল্প এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
- মণিপুর: মণিপুরের জিডিপি ₹ 38,762 কোটি (2022 সালের তথ্য অনুযায়ী), যা প্রায় 4.66 বিলিয়ন মার্কিন ডলার(India Brand Equity Foundation)। রাজ্যের অর্থনীতি কৃষি, হস্তশিল্প, ও বনজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল।
- নাগাল্যান্ড: নাগাল্যান্ডের জিডিপি প্রায় ₹ 30,000 কোটি (2021-22 অর্থবছরে), যা প্রায় 3.6 বিলিয়ন মার্কিন ডলার(India Brand Equity Foundation)। এখানকার অর্থনীতি কৃষি ও হস্তশিল্প নির্ভর।
এই রাজ্যগুলির জিডিপি তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্বল অবকাঠামো, শিল্পের অভাব, এবং ক্রমবর্ধমান সামাজিক অস্থিরতা।
২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) ছিল প্রায় ৪৯০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ক্রমাগতভাবে তার জিডিপি বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত, রেমিট্যান্স এবং কৃষি খাতের মাধ্যমে।